আবারও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির খেতাব অক্ষুন্ন রেখেছেন ইলন মাস্ক। বুধবার কিছু সময়ের জন্য ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন এই স্থানটি দখলে রেখেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা তার হয়নি। তাকে ধাক্কা দিয়ে এক নম্বরে উঠে এসেছেন ইলন মাস্ক। ওরাকলের শেয়ারের দামে হঠাৎ উত্থান ঘটে কোম্পানির এআই অবকাঠামো সেবার চাহিদা বৃদ্ধির কারণে। এ ঘটনা এলিসনকে শীর্ষ ধনী বানিয়েছিল কয়েক ঘণ্টার জন্য।
ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এলিসনের সম্পদের পরিমাণ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত ওরাকলের আয়ের প্রতিবেদনের পর ৮৯ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৩৮৩.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়। দিনের এক পর্যায়ে তার সম্পদ ১০১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বেড়ে যায়, যা ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সে একদিনে রেকর্ড করা সবচেয়ে বেশি সম্পদ বৃদ্ধি। ওরাকলের শেয়ারের দাম বুধবার সর্বোচ্চ ৪৩ ভাগ পর্যন্ত বেড়ে শেষ পর্যন্ত ৩৬ ভাগ বৃদ্ধিতে এসে থামে। যা ১৯৯২ সালের পর একদিনে সবচেয়ে বড় উত্থান। শক্তিশালী আয় ও এআই-সম্পর্কিত আশাবাদী পূর্বাভাস এই উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছে।
ওরাকলের বাজারমূল্য প্রায় ২৪৪ বিলিয়ন ডলার বেড়ে মোট ৯২২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে কোম্পানি এসঅ্যান্ডপি ৫০০ তালিকায় ১৩তম থেকে উঠে ১০ম স্থানে চলে এসেছে। পেছনে ফেলেছে ইলাই লিলি, ওয়ালমার্ট এবং জেপি মরগান চেজের মতো শিল্প জায়ান্টদের। এলিসন ওরাকলের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত শেয়ারহোল্ডার। এই উত্থানের কারণে সাময়িকভাবে তিনি মাস্ককে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন।
তবে বুধবারের লেনদেন শেষে মাস্ক আবারও শীর্ষস্থান ফিরে পান। তার সম্পদ দাঁড়ায় ৩৮৪.২ বিলিয়ন ডলারে। যা এলিসনের চেয়ে ১ বিলিয়ন ডলার বেশি। ইলন মাস্ক ২০২১ সালে প্রথমবার বিশ্বের শীর্ষ ধনী হওয়ার পর থেকে মূলত এই অবস্থান ধরে রেখেছেন। যদিও তিনি কয়েকবার এক নম্বর থেকে সরে গিয়েছিলেন। ২০২১ সালে এলভিএমএইচ-এর বার্নার্ড আর্নল্ট এবং ২০২৪ সালে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস তাকে ছাড়িয়ে যান। তবে গত বছর তিনি পুনরায় শীর্ষে ফেরেন এবং ৩০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে এই অবস্থান ধরে রাখেন।
খুলনা গেজেট/এনএম